দেশকে সঠিক দিশায় নিয়ে যেতে ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিকল্প নেই : মিফতাহ্ সিদ্দিকী
আপডেট সময় :
২০২৫-০৯-০৬ ২৩:৩৩:৫৮
দেশকে সঠিক দিশায় নিয়ে যেতে ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিকল্প নেই : মিফতাহ্ সিদ্দিকী
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদান, যুদ্ধোত্তর দেশ পুনর্গঠন করে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মানুষের গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সেজন্যই শহীদ জিয়ার হাতে গড়া দল বিএনপি আজ দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল।
জন্মলগ্ন থেকেই দেশ ও জনগণের কল্যানে কাজ করছে বিএনপি। চরম প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শক্ত ভাবে দলের হাল ধরেছন, দেশনায়ক তারেক রহমান মমতায় নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছেন। জিয়াউর রহমান ছিলেন সাহস, দেশপ্রেম ও উন্নয়নের প্রতীক। আজও তাঁর আদর্শই আমাদের অনুপ্রেরণা।
শনিবার বিকেলে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গোয়াইনঘাট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সারাদেশে ব্যাপক লুটপাট করে গণঅভ্যুত্থানের মূখে ফ্যাসিস্ট আওয়ামিলীগ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশ আজ গভীর রাজনৈতিক সংকট ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। দেশকে সঠিক দিশায় নিয়ে যেতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সুশাসন নিশ্চিত করা ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, তা কেবল একটি দলীয় রূপরেখা নয়, বরং এটি সমগ্র জাতির মুক্তির সনদ। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্যসহনশীলতা, শিক্ষা–স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের কাঠামোগত উন্নয়ন, কৃষি ও শ্রমিকবান্ধব নীতি, প্রবাসীদের কল্যাণ এবং মানবাধিকারের সুরক্ষাকে আমরা প্রাধান্য দিয়েছি। জনগণের আস্থা অর্জনই আমাদের মূল শক্তি।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই গোয়াইনঘাট উপজেলার মানুষ কাঙ্খিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। এখানে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও শিল্প–উদ্যোক্তা খাতে যে সম্ভাবনা রয়েছে, তা কাজে লাগানো হয়নি। বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে এই এলাকাকে পর্যটন, শিক্ষা ও বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এতে করে করে তরুণদের ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বিএনপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, গণতন্ত্র ছাড়া কোনো উন্নয়ন স্থায়ী হয় না। তাই গণতান্ত্রিক যাত্রকে অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির এবং ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে ধানের শীষের বিজয় মানেই হবে গণতন্ত্রের বিজয়, মানুষের মুক্তির বিজয়।
গোয়াইনঘাট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি এম.এ হকের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহ সভাপতি এম.এ রহিমের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ ক্ষুদ্র ঋণ- কুটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় সদস্য সালেহ আহমদ খছরু।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ ক্ষুদ্র ঋণ ও কুটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি জন্মলগ্ন থেকে মানুষের অধিকার আদায়ের কথা বলছে। ফলশ্রুতিতে আমাদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ সকল স্থরের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতনের চলছিল। এত কিছুর পরও বিএনপি আদর্শ থেকে বিচ্যুৎ হয়নি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় সদস্য সালেহ আহমদ খছরু বলেন, শহীদ জিয়ার আদর্শে দল বিএনপি আজ দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক পরিবার। সর্বস্তরের মানুষ বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচির পক্ষে ঐক্যবদ্ধ। তাই আাগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেনন ও উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন, সিলোট জেলা বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমদ হেলালী, গোয়াইনঘাট উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক মদরিছ আলী, উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, সিলেট মহানগর বিএনপি নেতা শফিকুর রহমান টুটুল, সিলেট মহানগর তাঁতী দলের সভাপতি আব্দুল গফ্ফার, বিএনপি নেতা হাসান ইফতেখার শামীম, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক বেলাল, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব আজিজুল হোসেন আজিজ, সিলেট মহানগর বিএনপি নেতা রায়হাদ বক্স রাক্কু, বিএনপি নেতা সাকের আহমেদ, আলী আরশাদ দীপু, এবি মজুমদার রনি, কাউসার হোসেন রকি, গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপি নেতা জালাল উদ্দীন বাবুল, হোহেন আহমদ, আব্দুল জব্বার, যুবদল নেতা আব্দুল মানান্ন, সাবেক ছাত্রদল নেতা বেনজির আহমদ সুমন, ছাত্রদল নেতা হাছান আল আমিন ফাহিম, জসিম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, তারেক আহমেদ বিলাস, আবদুল হালিম, সাহানুর আহমেদ রবিন, সাকিল আহমদ, শ্রমিকদল নেতা আমির হুসেন, আবুল হুসেইন, হুসেন আহমেদ প্রমূখ।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স